হাফিজুর রহমান | তালতলী (প্রতিনিধি )বরগুনা: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে কিছুটা উত্তাল রয়েছে নদী গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে জনজীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছে তালতলীর এমত অবস্থায় কৃষকদের স্বপ্নের আমন ফসল নিয়ে চিন্তিত তালতলী উপজেলার কৃষকরা
আজ সোমবার (৬ ডিসেম্বর) ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি পায় এতে ডুবে যায় অনেক ফসলি জমি
আমনের বাম্পার ফলন হলেও ঘূর্ণিঝড়ের খবরে চিন্তিত তালতলীর আমন ধান চাষীরা আমনের ভরা মৌসুম হওয়ায় এখন সকল ধান পেকে গেছে যাও বাকি আছে আগামী ১৫থেকে ২০ দিনের মধ্যে তাও সব ধান কাটা হবে বলে জানিয়েছে কৃষকরা এর মধ্যে ঘূর্ণিঝড় হলে সর্বনাশ হবে কৃষকদের
এদিকে তালতলী উপজেলা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে ঘূর্ণিঝড়ের আগেই যে সকল ধান ৭৫ থেকে ৮০ ভাগ পেকে গেছে তা কেটে ফেলার পরামর্শ দিয়েছিলেন কিন্তু গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির ফলে ধান কাটা সম্ভব হচ্ছিল না
তালতলী উপজেলা নিশানবাড়ীয়া ইউনিয়নের বতিপাড়া গ্রামের কৃষক আবু কালাম বলেন আমি ৩৭ একর জমিতে আমন ধান চাষ করছি এর মধ্যে ১২ একর জমির আমন ধান কাটছি এখনো আমার ২৫ একর জমির ধান ক্ষেতে আছে এগুলো কাটতে এখনো ১৫ থেকে ২০ দিন সময় লাগবে বন্যার খবর শোনার পর থেকে ঘুমায়না পানি বাতাস আইলে আমার সব ধান নষ্ট হইয়া যাইবে আমার সব শেষ হইয়া যাইবে
একই ইউনিয়নের খলিলুর রহমান বলেন আমি ধান ছাড়াও এক একর জমিতে আগাম তরমুজের চাষ করছি চারায় দুইটা কইরা পাতা হইছে বন্যা হইলে আমার সব শেষ হইয়া যাইবে বাজান ভিক্ষা করা ছারা উপায় থাকবে না
বড় বগি ইউনিয়নের কৃষক ফোরকান বলেন আমি ৬ একর জমিতে আমন ধান চাষ করছি কিন্তু বন্যার খবর পাইয়া চিন্তায় আছি এখন আল্লাহ যদি রক্ষা করে করবে না হইলে সর্বস্ব শেষ হইয়া যাইবে
সবজির জোন হিসেবে পরিচিত সওদাগার পাড়ায় তো এখন সবুজের সমাহার চারো দিকে তাকাইলেই সিমের বাগান জাওয়াদের কথা শুনেই কৃষকদের মাথায় হাত বড় ধরনের বাতাস হলে শেষ হয়ে যাবে সিমের বাগান হাজার হাজার টাকার সবজি নষ্ট হয়ে যাবার আশংকায় ক্ষেতের দিকে তাকিয়ে অশ্রুসিক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে আছে কৃষকরা
তালতলী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার শামিউল ইসলাম বলেন এই উপজেলায় আবাদযোগ্য মোট জমির১৬ হাজার ৩২০ হেক্টর এরমধ্যে ১৬ হাজার হেক্টর জমিতে আমন চাষ হয়েছে সব জমিতে প্রতি হেক্টরে উচ্চ ফলনশীল ধান ৫ টন এবং স্থানীয় জাতের প্রতি হেক্টরে ৩ থেকে সাড়ে ৩টন ধান উৎপাদন হয় ঘূর্ণিঝড়ের খবর পেয়ে কৃষকদের কাছে আমরা বার্তা পাঠিয়েছি যাদের ধান ৮০ভাগ পেকে গেছে সেগুলো কেটে ফেলার পরামর্শ দেয়া হয়েছে ক্ষয়ক্ষতি তেমন হবেনা এছাড়াও যারা আলু চাষ করেছে কিন্তু বীজ রোপন করেনি তারা যেন একটু পরে চাষ করে সেই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এবং আমাদের সকল অফিসার মাঠে আছে
হাফিজুর রহমান
তালতলী বরগুনা
০১৭১০২৩২৭৪৫
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।